Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পানিকচুর আবাদ

‘সস্তায় পস্তা মেলে’ এ প্রবাদটি কোনো কোনো ক্ষেত্রে অমিল। দামে সস্তা হলেই গুণগতমান খারাপ হয় না। কচুর কথাই বলি- এর প্রতি ১০০ গ্রাম পাতায় ৩৮.৭ মিলিগ্রাম লৌহ রয়েছে, যা অন্য কোনো খাবারে নেই। এছাড়া এতে আছে ১২০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-এ, ৬৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ৮.১ গ্রাম শর্করা, ৬.৮ গ্রাম আমিষ, ৪৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ৩৮.৭ মিলিগ্রাম লৌহ। অথচ  বহু নামি-দামি সবজিতে পুষ্টির পরিমাণ কচু অপেক্ষা অনেক কম। শুধু তাই নয়, এর আবাদও অত্যন্ত সহজ এবং যে কোনো মাটিতে জন্মে। রোগ-পোকার আক্রমণ হয় না বললেই চলে। এরাসী পরিবারভুক্ত এ উদ্ভিদটি অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু। খরা কিংবা জলবদ্ধতা সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। এদের অন্যতম সদস্য পানিকচু, যার পাতা, কা-, ডাঁটা, লতি, কোনো কিছুই ফেলনা নয়। নিচু জমিতে নভেম্বর-মধ্য ডিসেম্বর আর মাঝারি নিচু হলে ফেব্রুয়ারি-মার্চে চাষের জন্য উপযুক্ত সময়। জাত নির্বাচনে বারি উদ্ভাবিত ‘লতিরাজ’ শ্রেয়। কারণ এর লতি খেলে গলা চুলকানোর আশংকা নেই। বাজারমূল্যও ভালো।
আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে জমিকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন মাটি ঝুরঝুরে হয়। অতঃপর  সাকার অথবা বীজতলায় জন্মানো চারা সারি পদ্ধতিতে রোপণ করা উচিত। এক্ষেত্রে লাইন হতে লাইনের দূরত্ব হবে ১৮ ইঞ্চি। এজন্য প্রতি ১০০ বর্গমিটার জায়গার জন্য ৩৭০টি বীজ প্রয়োজন।  চারা লাগানোর সময় সব পাতা, শিকড় এবং কা-ের নিম্নাংশ কেটে ফেলতে হবে। রোপণকালীন  মাটি পানিসিক্ত না থাকলে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নেয়া বাঞ্ছনীয়।
জমিতে হেক্টরপ্রতি যে পরিমাণ সার প্রযোজ্য তা হচ্ছেÑ গোবর ১০ টন, ইউরিয়া ১৫০ কেজি, টিএসপি ১০০ কেজি। গোবর, টিএসপির সবটুকু এবং পটাশের অর্ধেক জমি তৈরির সময় মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হয়। ইউরিয়ার দুই ভাগের এক ভাগ আর পটাশের বাকি অংশ রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর এবং ইউরিয়ার অবশিষ্টাংশ ৮০-৯০ দিন পরে প্রয়োগ করতে হবে।
পরিচর্যার গুরুত্ব কম থাকলেও আশানুরূপ ফলন পেতে কিছু না করলেই নয়। তাই জমিকে সর্বদাই আগাছামুক্ত করে রাখতে হবে। গরু-মহিষ এবং অন্যান্য প্রাণী যেন ঢুকতে  না পারে সেজন্য বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পানি কচু দাঁড়ানো পানি পছন্দ করে। তাই প্রয়োজনমতো সেচ দিয়ে পানি ধরে রাখতে হয়। অন্তত ইউরিয়া প্রয়োগের পর এবং লতি বের হওয়ার সময় ক্ষেতে ২-৪ ইঞ্চি পরিমাণ পানি ধরে রাখা ভালো।
সাধারণত কোনো পোকা কচুকে আক্রমণ করে না। তবে পাতার মড়ক রোগ মাঝে মাঝে দেখা দিতে পারে। এ রোগের লক্ষণ হলো পাতার ওপরে বাদামি রঙের গোলাকার দাগ দেখা যায়। পরে দাগগুলো বেড়ে একত্র হয়ে যায়, সেই সাথে পাতাও ঝলসে যায়। পরবর্তীতে কা- এবং কন্দে ছড়িয়ে পড়ে। অধিক তাপমাত্রা, আর্দ্র আবহাওয়া এবং একাধারে ৩-৪ দিন বৃষ্টি হলে রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। প্রতিকার হচ্ছে রোগ দেখা দেয়া মাত্র প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম রিডোমিল এমজেড-৭২ ডব্লিউ  কিংবা ডাইথেন-এম ৪৫ পনেরো দিন অন্তর অন্তর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে।
পানি কচুরলতি এবং কা- হতে দুই ধরনের সবজি পাওয়া যায়। ‘লতিরাজ’ তিন মাসের মধ্যেই লতি দিতে আরম্ভ করে। কা- না তুললে ৭-৮ মাস পর্যন্ত দেয়া চলতেই থাকে। ৩২-৩৬ ইঞ্চি লম্বা হলে লতি সংগ্রহের উপযুক্ত হয়। এজন্য সময় লাগে ৮ থেকে ১০ দিন। সময়মতো না উঠালে লতির অগ্রভাগে চারা গজাতে শুরু করে। ফলে এর গুণাগুণ কিছুটা কমে যায়। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ২০-২৪ টন কচু উৎপাদন সম্ভব। অন্যান্য ফসলের মতো কচু উৎপাদনে ঝুঁকি নেই। একটু যতœ নিলেই  কাক্সিক্ষত ফলন পাওয়া যায়। তাই চাষের জন্য জমির পরিমাণ আরও বাড়ানো দরকার। এতে কেবল পুষ্টির চাহিদাই মিটবে না, পাশাপাশি লাভের অংকটাও হবে বড়। য়

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon